
ঈদুল আযহা ২০২৩ কবে? কোরবানির ঈদ ২০২৩ কত তারিখে?
২০২৩ সালের কুরবানির ঈদ কত তারিখে হবে? ঈদুল আযহা ২০২৩ কত তারিখে হবে? কোরবানির ঈদ জুলাই মাসের কত তারিখে। কুরবানির ঈদ ২০২৩ কত তারিখ।
আপনারা যারা ঈদুল আযহা ২০২৩ কবে জানার জন্য আগ্রহী, তারা আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে ঈদুল আযহা ২০২৩ কবে তা জানতে পারবেন।ঈদুল আযহা হচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য সবচেয়ে বড় উৎসব। আমরা মুসলিম। আমাদের ধর্মীয় জীবনে অনেকগুলো ধর্মীয় উৎসব থাকলেও সবচাইতে বড় ও আনন্দের উৎস হিসেবে দুইটি ঈদ আমরা পালন করে থাকি। এ দুটোর মধ্যে একটি হলো- ঈদুল ফিতর আর অন্যটি হলো ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ।
ঈদুল আযহাকে আমরা অনেকেই কুরবানীর ঈদ বলে জেনে থাকি, এর কারণ পবিত্র ঈদুল আযহাতে পশু কোরবানি করা হয়। ঈদুল আযহা কে কেন্দ্র করে মহান আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি আদায়ের জন্য পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে এই উৎসব পালন করা হয়। ঈদুল আযহার অন্যতম ইবাদত হল হজ্ব পালন করা। আল্লাহতালা যাদেরকে সামর্থ্য দিয়েছেন তারা ঈদুল আযহাতে পবিত্র হজ পালন করে থাকেন।
কোরবানির ঈদ ২০২৩ কত তারিখ ?
“২০২৩ সালের কোরবানির ঈদ বা ঈদুল আযহা কত তারিখে হবে” আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবো। অনেকে হয়তো মনে করে থাকবেন ঈদুল আজহা কবে তা জেনে আমাদের লাভ কি? আসলে আমাদের ধর্মীয় উৎসব হিসেবে ঈদুল আযহা তে আমাদের অনেকগুলো পারিবারিক ও সামাজিক করণীয় থাকে। যেমন- কোরবানির পশু কেনা, কোরবানির পশু কোরবানি করার স্থান, লোকবল, সামাজিক আলোচনা এগুলোর পাশাপাশি আমাদের কেনাকাটা থেকে থাকে। আমরা যদি ঈদুল আজহা কবে তা আগে থেকে জানতে পারি তাহলে উপরোক্ত কাজগুলো আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারব। ফলে ঈদুল আযহার দিন আমাদের বাড়তি চাপ নিতে হবে না।
গত দুই বছর করোনাকালীন সময়ের জন্য ঈদুল আজহা আমরা খুব সংকীর্ণ পরিসরে উদযাপন করেছি। 2২০২৩ সালের ঈদুল আযহা যদিও করোনার পরিস্থিতি অনেকটা ভালো তার পরেও আমরা যতটা পারা যায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ, পশু কুরবানী ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে চলাফেরা ও মেলামেশা করব। কোরবানির ঈদ পালন করার সময় কোরবানি করার পশুকে নির্ধারিত জায়গায় কোরবানি করব যাতে আশপাশের পরিবেশ পশুর রক্ত ও বর্জ্য পদার্থের দুর্গন্ধ না ছড়ায় এবং পরিবেশ দূষিত না হয়।
ঈদুল আযহা ২০২৩ কত তারিখে?
ঈদুল আযহা ২০২৩ কবে? আমরা যদি ২০২৩ সালের ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ সুন্দরভাবে পালন করতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের আগে থেকে কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করে নিতে হবে আর কর্মপরিকল্পনা করে অগ্রসর হলে অবশ্যই আমাদের ২০২৩ সালের ঈদুল আযহা উদযাপন আনন্দের হবে।
২০২৩ সালের কোরবানির ঈদ কত তারিখে তা আপনারা আমাদের এই পোস্ট থেকে জেনে নিন। ২০২৩ সালের কোরবানির ঈদ কবে হবে তা যদি আপনারা জানতে পারেন তাহলে, কুরবানীর পশু আপনারা সে অনুযায়ী ক্রয় করতে পারবেন। অনেকের পরিবারের স্থান স্বল্পতার জন্য কোরবানির পশু একটু দেরিতে কেনেন সে ক্ষেত্রে আপনারা পূর্ব থেকেই কোরবানির পশু দেখে রাখতে পারেন এবং সে অনুযায়ী পশু ক্রয় করতে পারেন। যারা শহর অঞ্চলে বসবাস করে তাদের জায়গা স্বল্পতার কারণে কোরবানির ঈদে পশু দেরিতে কেনেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা ঈদের একদিন আগে বা আগেরদিন কোরবানির পশু কিনে থাকেন, তাদের জন্য কোরবানির ঈদ ২০২৩ কত তারিখে তা জানা খুবই জরুরী। তাহলে তারা সেই অনুযায়ী কোরবানির হাট কবে এবং কোথায় খোঁজ নিয়ে পশুর হাটে যাবে এবং কোরবানি ক্রয় করবে। তাই আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা ২০২৩ সালের ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ কত তারিখে তা জেনে নিন।
২০২৩ সালের ঈদুল ফিতর এর তথ্য অনুযায়ী আমরা হিসাব করে যে তথ্য পেয়েছি সে অনুযায়ী ২০২৩ সালের ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ জুলাই মাসের ১০ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। যেহেতু মুসলমানদের সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা হয় চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে, তবুও হিজরি সনের তারিখ অনুসারে আনুমানিক দিন জানা সম্ভব হয়ে পড়ে। তাই হিজরী সন অনুসারে জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখে পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপন করা হয়।
বাংলাদেশে কোরবানি ঈদ কবে
জিলহজ মাসের প্রথম ৯ দিন সিয়াম পালন করা হয়, তবে এই সিয়াম সবার ওপরে ফরয নয়, যদি কেউ এই সিয়াম পালন করতে চায় তাহলে পালন করতে পারে আবার যদি কেউ না করতে চায় তাহলে নাও করতে পারে। ঈদুল আযহার সবচেয়ে বড় এবাদাত হচ্ছে হজ্ব পালন করা। যে সকল মুসলিম ভাই ও বোনদের সামর্থ্য রয়েছে তারা অবশ্যই হজ্ব পালন করবে এবং যাদের কুরবানি দেয়ার সামর্থ্য রয়েছে তাদের অবশ্যই কোরবানি দিতে হবে। তবে যেহেতু ঈদুল আযহা চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল সেহেতু তারিখ দুই-একদিন কম বা বেশি হতে পারে। তবে আমরা ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে যে সকল পরিকল্পনা করতে চাচ্ছি তা যদি ২০২৩ সালের জুলাই মাসের ১০ তারিখকে ধরে নিয়ে করতে পারি তবে ঈদ-উল-আযহা আমাদের কাছে অনেক ফলপ্রসূ ও আনন্দদায়ক হবে। কারণ হিজরি সনের হিসাব অনুযায়ী ২০২৩ সালের ঈদুল আযহা জুলাই মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
তাই উপরোক্ত তারিখ অনুযায়ী আপনাদের যাবতীয় কর্মব্যস্ততা শেষ করে বছরে নির্দিষ্ট সময়ে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পরিবারের সাথে পালন করার চেষ্টা করুন। সকলের ঈদ উদযাপন হোক আনন্দঘন পরিবেশে।