
১০৯ তম প্রাইজবন্ড ড্র রেজাট ২০২২ প্রকাশিত হয়েছে । যাদের কাছে ১০০ টাকা মুল্যের প্রাইজবন্ড রয়েছে তারা ১০৯ তম প্রাইজবন্ড ড্র এর ফলাফল অনলাইনে চেক করতে পারবেন । ১০৯ তম প্রাইজবন্ড ড্র ফলাফল অনলাইন চেক করে নিতে পারবেন এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আবার আপনি চাইলে ১০৯ তম প্রাইজবন্ড রেজাল্ট ২০২২ পিডিএফ ডাউনলোডঙ্করতে সক্ষম হবেন।
নিচের অংশে কিভাবে ১০৯ তম প্রাইজবন্ড রেজাল্ট চেক করবেন । প্রাইজবন্ড রেজাল্ট চেক করার সহজ উপায় এবং কিভাবে অনলাইনে ১০৯ তম প্রাইজবন্ড এর রেজাল্ট চেক করবেন তা নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে একসময় প্রাইজবন্ড অনেক জনপ্রিয় ছিল। বাংলাদেশে আগের দিনে সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রাইজবন্ড উপহার হিসেবে প্রদান করা হতো। যেমন:- জন্মদিন, বিয়ে, পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন, স্কুলের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান, সুন্নতে খাতনা ইত্যাদি অনুষ্ঠানে উপহার বা পুরস্কার হিসেবে প্রাইজ বন্ড দেওয়ার প্রচলন ছিল। প্রাইজবন্ড এত জনপ্রিয় হওয়ার কারণ, এটি দারুন একটি সঞ্চয় পদ্ধতি। গ্রাহক যেকোনো সময় প্রয়োজনে এটি জমা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন, এর কোন নির্দিষ্ট মেয়াদ নেই। আবার এটি মিলিয়ে দেখার জন্য ও পুরস্কার পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন সঞ্চয় করে রাখতেও পারবেন। এছাড়া প্রাইজবন্ডের নির্দিষ্ট কোন মালিক নেই। বাহক ই প্রাইজবন্ডের মালিক। যে কোন বয়সের, যে কেউ প্রাইজবন্ডের মালিক হতে পারবে।
প্রাইজবন্ড প্রতি বছরে চারবার ড্র অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত প্রতি তিন মাস অন্তর প্রাইজবন্ড ড্র হয়। ৩১ জানুয়ারি, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর।
তবে উক্ত তারিখ গুলোতে কোন সাপ্তাহিক বা সরকারি ছুটি থাকলে বা অন্য কোন কারণে প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হতে না পারলে পরবর্তী কার্যদিব সেটা সম্পূর্ণ করা হয়। প্রাইজবন্ড মূলত জনগণের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের একটি সুদ মুক্ত বিনিয়োগ।
প্রতি ড্র তে প্রতি সিরিজে পুরস্কার
(ক) ৬,০০,০০০ টাকার প্রথম পুরস্কার ১টি,
(খ) ৩,২৫,০০০ টাকার দ্বিতীয় পুরস্কার ১টি,
(গ) ১,০০,০০০ টাকার তৃতীয় পুরস্কার ২টি,
(ঘ) ৫০,০০০ টাকার চতুর্থ পুরস্কার ২টি,
(ঙ) ১০,০০০ টাকার পঞ্চম পুরস্কার ৪০টি।
প্রতিবার ড্রয়ের বিজয়ীদের নাম ও প্রাইজবন্ড নাম্বার জাতীয় ও দৈনিক পত্রিকা গুলোতে প্রকাশ হয়ে থাকে। ড্র এ বিজয়ী ব্যক্তি ড্রয়ের পর পরবর্তী দুই বছর পর্যন্ত পুরস্কার দাবি করতে পারবেন। ড্র এর ২ বছর পার হয়ে গেলে আর পুরস্কার দাবি করতে পারবেন না।
আগেরকার তুলনায় প্রাইজবন্ডের প্রচলন অনেকটা কমে গেলেও, এখনো প্রাইজবন্ডের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। তবে বর্তমানে এই ডিজিটাল যুগে পত্রিকা দেখে এত ধৈর্য নিয়ে প্রাইজবন্ডের নাম্বার মিলানোর মানসিকতা খুব কম মানুষেরই রয়েছে। যার ফলে অনেক বাড়িতেই প্রাইজবন্ড জমা হয়ে থাকলেও মিলানোর অভাবে পুরস্কার দাবি করা যায় না।
১৯৫৬ সালে আয়ারল্যান্ডে প্রথম প্রাইজবন্ড চালু হয়। এটা নিরাপত্তা বহনকারী একপ্রকার সুদ বিহীন বন্ড যা আইরিশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রাইজবন্ড কোম্পানি লিমিটেড এর মাধ্যমে বাজারে ছাড়া হয়। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১০-৫০ টাকা মূল্য মানের প্রাইজবন্ডের চালু হয়। এরপর ১৯৯৫ সালে ১০০ টাকা মূল্য মানের প্রাইজবন্ড চালু করা হয়। ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের পর পূর্বের ১০ ও ৫০ টাকার মূল্য মানের প্রাইজবন্ডগুলো ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া হয়। একজন ব্যক্তি সাধারণত ৪৫ লাখ টাকা সম পরিমাণ মূল্যের প্রাইজবন্ড কিনতে পারবেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশে মানুষের কর্ম ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে, প্রাইজবন্ড চেক করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করা। একটি মানসম্মত প্রাইজবন্ড চেকার অ্যাপ আপনার সবটুকু প্রয়োজন পূরণ করতে পারে। আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদেরকে খুব সহজেই মানসম্মত ভাবে ফলাফল দেখার নিয়ম ও চেকার অ্যাপের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে।
বাংলাদেশী প্রাইজবন্ড চেকার অ্যাপটি থেকে যে সুবিধাগুলো পাবেন ঃ
১. এই অ্যাপটি আপনি বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন।এই অ্যাপ টি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন বিনা মূল্যে।
২. ১০টি প্রাইজবন্ড এড করার জন্য কোন চার্জ লাগবে না।
৩. ১০টির বেশি প্রাইজবন্ড অ্যাড করতে চাইলে, আপনার চাহিদা অনুযায়ী যতগুলো প্রাইজবন্ড অ্যাড করতে চান, সেই অনুযায়ী সাবস্ক্রিপশন করুন।
৪. প্রাইজবন্ড ড্র এর সাথে সাথে ড্রয়ের ফলাফল একটি আপনার মোবাইলে দ্রুত ফলাফল পৌঁছায় দিবে।
কীভাবে অ্যাপ টি ব্যবহার করবেন?
আপনার মোবাইলের গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন। অথবা Prize Bond Checker লিখে সার্চ করে একটিভ ডাউনলোড করুন।
প্রাইজবন্ড চেকার অ্যাপ
প্রাইজবন্ড চেকার অ্যাপটি ইন্সটল করার পর, আপনার নাম, ইমেইল নাম্বার এবং ফোন নাম্বার এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করুন। আপনার মোবাইলে অ্যাক্টিভেশন কোড পৌঁছে যাবে অ্যাপটিতে এই কোডটি প্রবেশ করিয়ে রেজিস্ট্রেশনটি সফল করুন। এরপর লগইন করে আপনার প্রাইজবন্ডগুলো যুক্ত করুন।
লক্ষণীয় বিষয়:-
এক রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, বাংলাদেশে মাত্র ৫০% বিজয়ী প্রাইজবন্ড পুরস্কারের জন্য আবেদন করে থাকেন। এমন কি পুরস্কার পেয়েও পুরস্কারের টাকা না তোলার অনেকগুলো কারণ পাওয়া গেছে। কারণগুলো নিম্নরূপ:-
- অনেক ক্ষেত্রে জনগণ জানেন না যে, প্রাইজবন্ড বছরের কোন সময় ড্র হয় বা ড্রয়ের ফলাফল কিভাবে জানা যায়।
- প্রাইজবন্ড চেকার অ্যাপ সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই।
- বিভিন্ন পেপার পত্রিকা খোঁজাখুঁজি করে হৃদয়ের ফলাফল দেখার প্রতি অনেকের অবহেলা বা কর্মব্যস্ততার জন্য সময় না পাওয়া।
বাংলাদেশ প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ -এর ফলাফল অনুসন্ধান সফটওয়্যার
প্রাইজবন্ড ড্র এর ফলাফল অনুসন্ধান সফটওয়ার ব্যবহার করুন এবং খুজে নিন আপনার নাম্বার । অনলাইনে শুধুমাত্র আপনার প্রাইজন্ডের নাম্বার লিখে খুজে নেওয়া যাবে আপনি বিজয়ী হয়েছেন কিনা। এই নিয়মটি নতুন তাই অনেকেই জানেন না তাদের প্রাইজবন্ডের রেজাল্ট কিভাবে দেখবেন ।নিচে সফটওয়ার এর মাধ্যমে প্রাইজবন্ডের ফলাফল কিভাবে চেক করবেন তা বর্ণনা করা হলো।
- http://www.irdbd.online/prizebond/ এই লিঙ্কে প্রবেশ করুন
- সংখ্যা লিখুন বোতামে চাপ দিন
- প্রাইজবন্ডের সাধারণ সংখ্যাটি (সিরিজ ব্যতীত) বাংলায় অথবা ইংরেজিতে লিখুন এবং অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করুন।
- একাধিক সাধারণ সংখ্যা একসাথে অনুসন্ধানের জন্য সংখ্যাগুলোকে কমা (,) দ্বারা আলাদা করুন। উদাহরণঃ ০৪৬৯৪৮০, ০৪১৮০০৪
- ধারাবাহিক (সিরিজ) সাধারণ সংখ্যা অনুসন্ধানের জন্য প্রথম ও শেষ সংখ্যার মাঝে হাইফেন (-) ব্যবহার করুন। উদাহরণঃ ০৪৬৯০৯০-০৯১৭০০৯
প্রাইজবন্ডের নাম্বার মিলিয়ে যদি আপনার সংখ্যা মিলে যায় তাহলে আপনি পুরষ্কার এর জন্য নির্বাচিত হবেন। পুরষ্কার পেতে হলে আপনাকে একটি ফরম পুরন করতে হবে।
শেষ কথা
আশা করছি অনলাইনে ১০৯ তম প্রাইজবন্ড রেজাল্ট চেক করার নিয়ম ২০২২ সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন। অনলাইনে ১০৯ তম প্রাইজবন্ড রেজাল্ট চেক করার নিয়ম ২০২২ সম্পর্কে যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে এখানে প্রশ্ন করুন। এই নিবন্ধের কোনো অংশ বুঝতে না পারলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন, Result Insider BD টিম আপনার সমস্যার সমাধান করতে সবসময় চেষ্টা করে। এ বিষয়ে আরো তথ্য জানতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন ও ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন। সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।